ꦐ মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রিমিয়র লিগের উদ্বোধনী ম্যাচ ছিল ঢাকায়। আর সেখানেই বিরল আউটের শিকার হলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার টম ও কনেল। মানে ডাক হওয়া বা গোল্ডেন ডাকের শিকার হওয়াটা নর্মাল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেটার চট্টগ্রাম কিংসের জার্সিতে যেভাবে গোল্ডেন ডাকের শিকার হলেন খুলনা টাইগার্সের বিরুদ্ধে, তা দেখে হাসাহাসির রোল পড়ে গেছে ক্রিকেটমহলে।
🦂টাইগার্সদের বোলিং অ্যাটাকের সামনে চট্টগ্রাম কিংসের ব্যাটিং লাইন আপের বিপর্যস্ত চেহারা নেয় পাওয়ারপ্লেতে। ৬.১ ওভারের মধ্যে পাঁচ উইকেট পড়ে যায় তাঁদের। হায়দার আলির আউটের পরই সাত নম্বরে ব্যাটিং করতে আসছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার টম ও কনেল। কিন্তু তিনি ক্রিজে আসতে বেশ খানিকটা সময় লাগিয়ে দেন।
♒আরও পড়ুন- এক বছরে টেস্টে ১৪৭৮ রান! যশস্বী টপকালে সানি-বীরুকে! শীর্ষে এখনও সচিন তেন্ডুলকর, কত রান?
🧔অস্ট্রেলিয়ান তারকা যখন ঢুকতে যাচ্ছেন মাঠে তখন আম্পায়াররা কথা বলছিলেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে। একটা সময় আম্পায়ারকে ঘড়ির কাঁটাও দেখান মিরাজ। এরপর আম্পায়াররা কনেলের কাছে গিয়ে তাঁকে জানান তিনি টাইমড আউট হয়েছে। আইসিসির ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যাটার আউট হওয়ার পর নতুন ব্যাটার এসে যদি তিন মিনিটের মধ্যে ব্যাট করতে তৈরি না হয়, সেক্ষেত্রে নতুন ব্যাটারকে টাইমড আউট দিতে পারেন আম্পায়াররা। এক্ষেত্রেও তাই হয় কনেলের সঙ্গে।
ꦯখুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রাম কিংসের ব্যাটার টম ও কনেলকে টাইমড আউট করবেন না। এরপর মিরাজ আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারকে নটআউট ঘোষণা করতে বলেন। কিন্তু এরপরই আসে ক্লাইম্যাক্স। অস্ট্রেলিয়ান কনেল প্রথম বলেই মহম্মদ নাওয়াজের বলে আউট হয়ে যান, ক্যাচ যায় মেহেদির হাতে।
💜আরও পড়ুন-Video-ফের ল্যাবুশানের সঙ্গে বেল নিয়ে তুকতাক সিরাজের! কাজে এল! তবে এবার আউট
🅷অস্ট্রেলিয়ার ২৪ বছর বয়সী ক্রিকেটারের টম ও কনেল এভাবে পরপর দুবার আউট হওয়ার নিদর্শন দেখে হাসাহাসি শুরু হয়ে যায় কমেন্ট্রি বক্সে। এরপরই ধারাভাষ্যকাররা বলে বলেন, ‘এমন উইকেট পড়বে কেউ ভাবতেই পারেনি। এটা বোধহয় ক্রিকেটের ইতিহাসে সব থেকে খারাপ গোল্ডেন ডাক’। কারণ মিরাজ তাঁকে স্পোর্টসম্যান স্পিরিট দেখিয়ে ফিরিয়ে নিলেও, কনেল নিজের উইকেট ধরে রাখতে পারেনি।
✱মেহেদি হাসান মিরাজের খুলনা টাইগার্স এই ম্যাচ জিতে নেয় ৩৭ রানে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে খুলনা দল তোলে ২০ ওভারে ২০৪ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৫ ওভারের মধ্যেই ১৬৬ রানে গুটিয়ে যায় চট্টোগ্রাম কিংসের ইনিংস। শেষদিকে শামিম হোসেন ৩৮ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে চট্টোগ্রামকে বড় পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা করেন।