লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে তিলক বর্মাকে রিটায়ার্ড আউট করানো নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছে। তবে সোমবার (৭ এপ্রিল) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে তিলক বর্মা দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেন। এই ম্যাচে তিনি ২৯ বলে ১৯৩ স্ট্রাইক রেটে ৫৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে টিমের ভিতরে, বাইরের সব সমালোচকদের চুপ করিয়ে দেন। এদিকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এদিন ফের হারলেও, দলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া পুরো পাল্টি খেয়ে তিলককে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন।
গুজরাটের বিরুদ্ধে তিলককে কেন রিটায়ার্ড আউট হতে হয়েছিল?
তিলক বর্মা লখনউ সুপার জায়ান্টসের মন্থর ইনিংস খেলছিলেন। যে কারণে তাঁকে রিটায়ার্ড আউট করানো হয়। সেই ম্যাচের পর হার্দিক স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছিলেন, ‘আমাদের কিছু বড় শট দরকার ছিল। তিলক সেটা খেলতে পারছিল না। ক্রিকেটে এমন কিছু দিন আসে যখন আপনি চেষ্টা করেন, কিন্তু সফল হন না। এটা একটা কৌশলগত সিদ্ধান্ত ছিল।’ তবে যে কোনও ক্রিকেটারের কাছে এই পরিস্থিতিটা খুবই অসম্মানজনক।
সোমবার সেই অপমানেরই যেন জবাব দিলেন তিল বর্মা। ওয়াংখেড়েতে ব্যাট হাতে সব সমালোচনাকে থামিয়ে দিলেন তিনি। আর সুযোগ বুঝে পাল্টি খেয়ে হার্দিক পান্ডিয়া আরসিবি ম্যাচের পর দাবি করেন, শেষ ম্যাচে আঙুলের চোট নিয়ে খেলছিলেন তিলক। তাই সমস্যা হচ্ছিল ওর। সেকারণেই তুলে নেওয়া হয়েছিল।
হার্দিক এদিন ড্যামেজ কন্ট্রোল করে বলেন, ‘তিলক আজ (সোমবার) দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। ও দুরন্ত পারফর্ম করেছে। শেষ ম্যাচে অনেক কিছু ঘটেছে। লোকেরা ওর সম্পর্কে অনেক কিছু বলেছে, কিন্তু লোকেরা জানে না যে, ম্যাচের আগের দিন ও খারাপ ভাবে আহত হয়েছিল। এটি একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত ছিল। ওর আঙুলের চোটের কারণে, কোচের মনে হয়েছিল যে, নতুন খেলোয়াড় এসে বড় শট মারলে ভালো হবে।’
আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে প্রভাব ফেলতে না পারলে… CSK-র কিংবদন্তি ধোনির অবসর নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি PBKS কোচের
তিলক ভালো খেললেও, হারল দল
টস হেরে ওয়াংখেড়েতে এদিন ব্যাট করতে নেমে বড় স্কোর করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তারা নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে করে ২২১ রান। বিরাট কোহলির ৬৭ রান (৪২ বল), দেবদত্ত পাডিক্কালের ৩৭ রান (২২ বল), রজত পতিদারের ৬৪ (৩২ বল), জিতেশ শর্মার ৪০ রানের (১৯ বল) হাত ধরে রানের পাহাড়ে ওঠে আরসিবি। মুম্বইয়ের হয়ে ট্রেন্ট বোল্ট এবং হার্দিক পান্ডিয়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
সেই রান তাড়া করতে নেমে মুম্বইয়ের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ৯ উইকেটে ২০৯ রানে। তিলক বর্মার হাফসেঞ্চুরি (২৯ বলে ৫৬), হার্দিক পান্ডিয়ার ঝোড়ো ৪২ (১৫) রানের পরেও জয় অধরাই থাকল মুম্বইয়ের। শেষ ওভারে ১৯ রান দরকার ছিল। কিন্তু ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ভাইয়ের দলের পরাজয় নিশ্চিত করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। ৯ উইকেটে ২০৯ রান করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ১২ রানে তারা পিছিয়ে পড়ে। আরসিবি-র হয়ে ক্রুনাল ৪ উইকেট নেন। যশ দয়াল, জোশ হেজেলউড নেন ২টি করে উইকেট।