শিবরাত্রি উপলক্ষে আমিষ খাবার পরিবেশন নিয়ে বুধবার দিল্লির সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে (জেইইউ) উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসএফআইয়ের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেসে পড়ুয়াদের উপর হামলা চালায় এবিভিপি সদস্যরা।
শিবরাত্রিতে আমিষ খাওয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে মারামারি,ছাত্রীর চুলের মুঠি ধরে টান
नई दिल्ली :
দক্ষিণ দিল্লির সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির (এসএইউ) মেসে আমিষ খাবার পরিবেশনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বামপন্থী ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (এসএফআই) এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) একে অপরের বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করেছে। (আরও পড়ুন: ফের ভূমিকম্প, এবার ভোররাতে কেঁপে উঠল অসম এবং বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল)
এসএফআইয়ের অভিযোগ, মহাশিবরাত্রিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেসে নন-ভেজ পরিবেশন করা যাবে না বলে দাবি তুলেছিল এবিভিপি। তবে সেই দাবি না মানায় এবিভিপি সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেসে পড়ুয়াদের উপর হামলা চালায়। এসএফআইয়ের দাবি, গোটা ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, এবিভিপি কীভাবে মেসে পড়ুয়াদের মারধর করেছে। এসএফআইয়ের আরও অভিযোগ, হামলার সময় এবিভিপি সদস্যরা এক ছাত্রীর চুল ধরে হিংস্রভাবে টানাহেঁচড়ে করে। ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের দাবি, মেসের কর্মীদের উপরও হামলা চালিয়েছে ওই ব্যক্তিরা। (আরও পড়ুন: ঢাকা স্তব্ধ করার হুঁশিয়ারি, গভীর রাত পর্যন্ত পথে শিক্ষার্থীরা, শুরু নয়া আন্দোলন)
এবিভিপি অবশ্য এই দাবি অস্বীকার করে পালটা অভিযোগ করেছে যে এসএফআই সদস্যরা রোজা পালন করা শিক্ষার্থীদের জন্য মেসের একটি নির্ধারিত জায়গায় জোর করে আমিষ পরিবেশন করার চেষ্টা করেছিল। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্যরা বলেছেন, মহাশিবরাত্রির সময় এই ধরনের কাজ ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন। এই ধরনের কাজ ধর্মীয় সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা। গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবিভিপি। এবিভিপির দাবি, যারা পরিবেশ নষ্ট করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।