♒ পূর্বঘোষিত সূচি মতো আজ সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ঋষি অরবিন্দ মিশনের মাঠে প্রশাসনিক সভা ও পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই উদ্দেশ্যে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে দ্বীপাঞ্চল এবং আশপাশের এলাকা। মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে সন্দেশখালি জুড়ে বসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাটআউট। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল সন্দেশখালি। ফের জমি বিবাদ এবং ভেড়ির মাছ লুঠকে কেন্দ্র করে পুরুষ মহিলা সহ একাধিক ব্যক্তিকে মারধর করার অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগ উঠেছে এলাকারই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন: ওমুখ্যমন্ত্রীর সন্দেশখালি সফরের পরই যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা, তপ্ত হবে কি বর্ষশেষ?
🍰অভিযোগ উঠেছে, বেড়মজুরে আদিবাসী বর্গাদারদের ভেড়ি দখল করে মাঠ লুঠ করা হয়েছে তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে। আর এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে অনেককে মারধর করা হয়েছে। তারা এলাকার তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগ, অজিত মাইতি তার দলবল নিয়ে সেখানে গিয়ে ভেড়ি দখল করে মাছ লুঠ করে। উল্লেখ্য, এই ভেড়ি নিয়ে বিবাদ দীর্ঘদিনের। অভিযোগ, ঘটেছিল একসময় শেখ শাহজাহান, সিরাজুদ্দিন বাহিনীর মদত নিয়ে অজিত মাইতি এই জমি দখল করে নিয়েছিলেন। সেই ঘটনায় আদিবাসী বর্গাকাররা তপশিলি কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
🍃এরপর ২০২৩ সালে সেই জমি দখলের অভিযোগে মান্যতা দেয়। ভুয়ো নথি দাখিল করে সেই জমি দখল করা হয়েছিল বলে জানতে পারে কমিশন। তখন তফসিলি কমিশন জমি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু, সেই সময় শাহজাহান বাহিনীর দাপট থাকায় নির্দেশ কার্যকর হয়নি। এরপর চলতি বছরের গোঁড়ার দিকে সন্দেশখালি নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দখল হওয়া জমি ফিরে পেয়েছিলেন গোবিন্দ সর্দার, সুভাষ সর্দার, সাগর সর্দার ও অন্যান্য স্থানীয় কৃষকরা। অভিযোগ, সেই জমিতে তৈরি করা ভেড়ি থেকে রবিবার মাছ লুঠ করা হয়েছে। অজিত মাইতি এবং তার দলবল সেখানে গিয়ে তাদের মারধর করে বলেও অভিযোগ।
♍এদিকে, মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি। তিনি দাবি করেছেন, ওই জমির আসল মালিক হলেন তিনি। তার কাছে জমির মালিকানা সংক্রান্ত সব রকমের নথি আছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।