নিজেদের ঘরের মাঠেই পঞ্জাব কিংস দল বড় ধাক্কা খেয়েছে আইপিএলের কোয়ালিফায়ারে। মুল্লানপুরে ম্যাচ খেলতে নেমে আরসিবির বোলারদের দাপটে মাত্র ১০১ রানেই অলআউট হয়ে গেছে শ্রেয়স আইয়ারের দল। যেই পিচ পঞ্জাবের ক্রিকেটারদের সব থেকে বেশি চেনা উচিত ছিল, সেখানেই পঞ্জাব ব্যাটাররা আরসিবির বোলারদের বিরুদ্ধে কার্যত দিশেহারা হয়ে যান। এক্ষেত্রে অবশ্য আরসিবির বোলারদের থেকেও পঞ্জাবের ব্যাটারদের অদক্ষতা আরও বড় কারণ। প্রথম দিকের যে ৬-৭টা উইকেট পড়ল পঞ্জাবের, তার অধিকাংশই বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হওয়া। অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে, নিজেদের উইকেটটি তাঁরা তুলে দিয়েছে আরসিবির বোলারদের হাতে। মাত্র ৬ ওভারের মধ্যেই ৪৮ রানের মধ্যে চার উইকেট পড়ে যায় পঞ্জাব কিংসের। লিগ স্টেজে এত ভালো পারফরমেন্সের পর কীভাবে পঞ্জাবের সাধের ব্যাটিং লাইন আপ এরকম ধরাশায়ী অবস্থা হল, তার উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না কেউইই।
এদিকে এই ম্যাচে একপ্রকার বাধ্য হয়েই আইপিএল ২০২৫-এ প্রথমবার মুশির খানকে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যাট করতে পাঠায় পঞ্জাব কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজি। সাধারণত কোয়ালিফায়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কোনও ক্রিকেটারের অভিষেক করানো হয় না, আর স্বদেশি ক্রিকেটারদের অভিষেক তাও এমন ম্যাচে দেখা যায় না বললেই চলে। কিন্তু পঞ্জাব এক প্রকার বাধ্য হয়েই মুশিরকে পাঠিয়েছিল। কারণ ততক্ষণে তাঁদের চার উইকেট পড়ে গেছিল। ফলে উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকার মতোই একজনকে চাইছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।
পঞ্জাব কিংসের এমন কাজ দেখে কিছুটা অবাক হয়ে যান আরসিবির তারকা বিরাট কোহলি। বিরাট পাশে থাকা ফিল্ডারকে মুশিরকে দেখে কিছু বলছিলেন। যা দেখেই ম্যাথিউ হেডেন দাবি করেন যে বিরাট কোহলি বলছেন, ‘এটা আবার কে ’। হেডেন বলেন, ‘দেখ বিরাট কোহলি ফার্স্ট স্লিগে দাঁড়িয়ে জানার চেষ্টা করছে যে এমন বড় ম্যাচে কে অভিষেক করছে? ও বলছে, এটা আবার কে? ’।
এটা শুনেই ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলে ওমনি বলে ওঠেন যে মুশিরের উচিত বিরাটকে বলা যে তাঁর দাদা ভারতের জার্সিতে ১৫০ রান করেছে। যদিও হর্ষ ভোগলেরও বোঝা উচিত, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বিরাট কোহলি দীর্ঘদিন ধরে নিজে ব্যাট হাতে প্রমাণ করেই আজ এই জায়গায় এসেছে। তাঁকে কিন্তু নিজের জাত চেনানোর জন্য দাদা-ভাইয়ের প্রসঙ্গ টানতে হয় না, নিজের ব্যাটেই সেই জবাব দেন।
তিন বলে ০ রান করে মুশির খান এরপর সাজঘরে ফেরেন। সূয়শ শর্মার বোলিংয়ে এলবিডাব্লু আউট হন মুশির। এরপর মাত্র ১৪.১ ওভারেই ১০১ রানে এমন বড় ম্যাচে অলআউট হয়ে যায় পঞ্জাব কিংস। পঞ্জাবের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন মার্কাস স্টইনিস।